শ্রমিকদের পাওনার দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন অভিমুখী মিছিলে পুলিশের লাঠিচার্জ

গাজীপুরের স্টাইল ক্রাফট ও ইয়াং ওয়ানস গার্মেন্ট শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধের দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন অভিমুখী মিছিল ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ। এ সময় পুলিশের হামলায় বেশ কয়েকজন আহত হন। আজ বুধবার প্রেসক্লাবের সামনের এলাকায়ছবি: সংগৃহীত

গাজীপুরের স্টাইল ক্রাফট ও ইয়াং ওয়ানস গার্মেন্ট শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধের দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন অভিমুখী মিছিল ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছে পুলিশ। আজ বুধবার বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ শেষে স্মারকলিপি দেওয়ার উদ্দেশ্যে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন অভিমুখে মিছিল নিয়ে যাওয়ার সময় লাঠিচার্জ করে মিছিলকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ।

পুলিশের লাঠিচার্জে বাংলাদেশ গার্মেন্ট ও সোয়েটার্স শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন, গাজীপুর জেলার সভাপতি আমিনুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক জালাল হাওলাদারসহ অন্তত ৩০ জন শ্রমিক আহত হয়েছেন বলে সংগঠনটির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে।

এ ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)। সিপিবির সভাপতি মো. শাহ আলম ও সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যখন চুক্তিভঙ্গকারী মালিকদের গ্রেপ্তার করে শ্রমিকদের পাওনা বুঝিয়ে দেওয়ার কথা, তখন শ্রমিকদের ওপরই বর্বর হামলা চালানো হয়েছে। অবিলম্বে শ্রমিকদের ন্যায্য পাওনা পরিশোধের দাবি জানিয়েছেন সিপিবির নেতারা।

গাজীপুরের স্টাইল ক্রাফট ও ইয়াং ওয়ানস গার্মেন্ট শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধের দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন অভিমুখী মিছিল আটকে দেয় পুলিশ। আজ বুধবার প্রেসক্লাবের সামনের এলাকায়

গাজীপুরের স্টাইল ক্রাফট ও ইয়াং ওয়ানস গার্মেন্ট শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধের দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন অভিমুখী মিছিল আটকে দেয় পুলিশ। আজ বুধবার প্রেসক্লাবের সামনের এলাকায়ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ গার্মেন্ট ও সোয়েটার্স শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র জানায়, স্টাইল ক্রাফট ও ইয়াং ওয়ানস গার্মেন্ট শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধের বিষয়ে গত ২৫ জুলাই শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি হয়। সে অনুযায়ী ৭৬৩ জন শ্রমিককে চার কিস্তিতে পাওনা পরিশোধ করার কথা। কিন্তু প্রথম কিস্তিতে চুক্তি ভঙ্গ করে ৩০৩ জন শ্রমিককে পাওনা পরিশোধ করা হয়নি। শ্রমিকেরা যোগাযোগ করলে কর্তৃপক্ষ গত ৩১ জুলাই পাওনা পরিশোধের আশ্বাস দেয়। পরে সেই আশ্বাসও বাস্তবায়ন না করে তারা ষড়যন্ত্র করছে।

শ্রমিকেরা বাধ্য হয়ে আন্দোলন করছেন উল্লেখ করে সংগঠনটির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শ্রমিকদের পাওনা আদায়ে চুক্তিভঙ্গকারী মালিককে গ্রেপ্তারের দাবিতে প্রয়োজনে বিভিন্ন শিল্পাঞ্চলের শ্রমিকদের সঙ্গে নিয়ে মার্চ টু যমুনা, শিল্পপ্রতিষ্ঠানে ধর্মঘটসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হবে।

SOURCE:

https://www.prothomalo.com

Loading

Related posts