সাঁওতাল বিদ্রোহ অন্যতম.
ভারতের কৃষক বিদ্রোহ# স্বাধীনতা ও শোষণমুক্তির লড়াই সংগ্রামের ইতিহাসে
সাঁওতাল বিদ্রোহ অন্যতম. !!!””””””
শুধু তাই নয়# ১৮৫৭ সালেঃ- ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামেও
সাঁওতাল বিদ্রোহ ব্যাপক প্রভাব ফেলে. !!!””””””
ভারত শাসনেঃ- ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের মূল স্তম্ভ ছিল- তাদের সৃষ্ট জমিদার# মহাজন#
আমলা- কর্মচারী# পুলিশ. !!!”””””””
ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ# তাদের দালালঃ-
জমিদার মহাজন আমলা কর্মচারী পুলিশের
অমানুষিকঃ- শাসন শোষণ লুণ্ঠন নিপীড়নের বিরুদ্ধে#
এটি ছিল সাঁওতালদের স্বাধীনতার.&.শোষণমুক্তির লড়াই সংগ্রাম. !!!””””””””
এই সংগ্রাম সাঁওতাল পরগণারঃ- সাঁওতাল জনগুষ্ঠীর.&.পার্শ্ববর্তী জেলা সমূহের ভূমিদাস# দরিদ্র কৃষক# কর্মকার# তেলি# চর্মকার# ডোমঃ- এসব গরীব মানুষের সহযোগীতা ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ# তাদের দালালঃ-
সামন্তঃ- জমিদার# মহাজনদেরঃ- শাসন শোষণ কাঠামো ভেঙ্গে
সাঁওতাল ও কৃষক গণমানুষের স্বরাজ প্রতিষ্ঠা করার জন্যই. !!!””””””””
ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ# জমিদার# মহাজন# আমলা কর্মচারীদের শাসন শোষণ লুণ্ঠন নিপীড়নের যাঁতাকল থেকে মুক্তি পাওয়ার লক্ষ্যেঃ-
জমির উপর সাঁওতাল# গরীব কৃষক#
গণমানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্যেই
এই বিদ্রোহ সংঘটিত হয়েছিল. !!!””””””””
সাঁওতালেরা ছিল নিরীহ শান্ত প্রকৃতির# ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ ও তাদেরঃ- অনুগত আমলা কর্মচারী জমিদার
মহাজনের শোষণ লুণ্ঠনে সাঁওতালরা নিঃস্ব হতে লাগলো. !!!”””””””
ঋণ# খাজনার দায়ে জমিদার মহাজনেরা সাঁওতালদের ক্রীতদাসে পরিনত করতো. !!!””””””””
সুদ আসল চক্রবৃদ্ধির ভোজা বাড়তে বাড়তে সাঁওতালরা বংশপরম্পরায়
ক্রীতদাস হয়ে থাকতে হতো. !!!””””””””
অতিমাত্রায় ঠকানো#
অতিমাত্রায় শোষণ নির্যাতন নিষ্পেষণে
অতিষ্ঠ হয়েইঃ-
সাঁওতালেরা বিদ্রোহী হয়ে উঠেছিল. !!!””””””””
তাদের এই বিদ্রোহঃ-
অগ্নী স্ফুলিঙ্গ থেকে দাবানলের সৃষ্টি করেছিল. !!!””””””””
১৬৫ বছর পূর্বে ১৮৫৫ সালের ৩০ জুনঃ- এই দিনে সিদু.&.কানুর নেতৃত্বে তাঁদের নিজ গ্রাম ভাগনাদিহিতে ৪০০ গ্রামের সাঁওতাল সর্দার.&.কর্মিদের নিয়ে প্রায় ১০০০০.( দশ হাজার).সাঁওতালেরা এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়. !!!””””””””
উক্ত সমাবেশে বৃটিশ সাম্রাজ্যবাদ.&.তাদের সৃষ্ট জমিদার# মহাজনের শোষণ লুণ্ঠন# উৎপীড়ণ# প্রতারণা# সাঁওতালদের দাসত্ব অবস্থা# বৃটিশ কর্মকর্তা কর্মচারী# জমিদার# মহাজনদের দ্বারা সাঁওতাল নারীদের সম্ভ্রমহানী এইসব অসহনীয় শোষণঃ- উৎপীড়নে সাঁওতাল জনগণ প্রতিশোধ নেয়ার প্রবল ইচ্ছা জাগে.&.তাদের প্রতিহিংসাও চরম বিদ্রোহী ভাব জেগে উঠে. !!!””””””””
১৮৫৪ সালের শেষের দিকেঃ- সাঁওতাল সর্দার গাক্কো# বীর সিংকে অপমান ও নিপীড়নেঃ- সাঁওতালরা আরও ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছিল. !!!”””””'””
ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ# জমিদার# মহাজন# আমলা# কর্মচারী.&.পুলিশের চরম অমানবিক শাসন শোষণ উৎপীড়নের বিরুদ্ধে ৩০ জুন ১৮৫৫ এর সমাবেশে
সিদু.&.কানু জ্বালাময়ী বক্তব্য রাখেন. !!!”””””””””
দীর্ঘকালের শোষণ# লুণ্ঠন.&.নির্যাতনের শিকার
সমাবেশে উপস্থিত হাজার হাজার সাঁওতালঃ- তাদের পরগণা হতে উৎপীড়কঃ- ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ.&.তাদের দালালঃ-
জমিদার# মহাজনদের বিতাড়িত করে
সমস্ত জমি দখল করা.&.স্বাধীন সাঁওতাল রাজ্য প্রতিষ্ঠা করার জন্য শপথ নেন. !!!””””””””
সেই দিনের সমাবেশ থেকেই
কলিকাতা অভিমুখেঃ- অভিযানের ঘোষণা দেয়া হয়. !!!”””””””’
হাজার হাজার সাঁওতাল বাহিনী ধ্বনি তুললোঃ-
রাজা মহারাজাদের খতম.&.জমিদার মহাজনদের বিতাড়িত করে# সাঁওতালদের নিজ হাতে শাসন চাই# এই আওয়াজ তুলে বিদ্রোহ আরম্ভ করে. !!!”””””””
সমাবেশ শেষে সিদু.&.কানুর নেতৃত্বে
হাজার হাজার সাঁওতাল গরীব কৃষক
খেটে খাওয়া মানুষজন কলিকাতার দিকে অভিযান আরম্ভ করে. !!!””””””””
১৮৫৫ সালের ৭ জুলাইঃ- অত্যাচারী দারোগা মহেশলাল.&.তার বাহিনী সাঁওতাল বাহিনীর গতিরোধ করে কিন্তু সাঁওতাল বাহিনী আগাতে থাকে# দারোগা চরম ক্রুদ্ধ হয়ে বলে কে তুই সরকারী কাজে বাধা দিস. !!!””””””””
একজন বলিলঃ- আমি কানু এ আমার দেশ.&.দ্বিতীয় জন বলিলঃ- আমি সিদু এ আমার দেশ. !!!”””””‘”
দারোগা মহেশলালঃ- সিদু.&.কানুকে বাঁধার নির্দেশ দেয়. !!!”””””””
এতে সাঁওতাল বাহিনী ক্ষুব্ধ হয়ে
দারোগা মহেশ.&.পুলিশ সহ
৯ জনকে হত্যা করে.&.বেগতিক অবস্থা দেখে পুলিশ দল পলায়ন করে. !!!”””””””
দারোগা মহেশলালের হত্যার মধ্য দিয়েইঃ- ঐতিহাসিক সাঁওতাল বিদ্রোহ শুরু হয়# সেই আবস্থায়ই কানু চিৎকার করিয়া বলিল হুল.(বিদ্রোহ).আরম্ভ হইয়া গিয়াছে. !!!”””””””
চারিদিকে শালের ডাল পাঠাইয়া দাও এখন আর দারোগা নাই# হাকিম নাই.&.সরকার নাই# আমাদের রাজা আসিয়া গিয়াছে. !!!””””””””
সাঁওতাল বিদ্রোহের আনুষ্ঠানিক ঘোষণার পরঃ- সাঁওতাল বাহিনীর আক্রমণে ঐসব অঞ্চলেঃ- ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ# জমিদার.&.মহাজনদের শাসন শোষণ ব্যবস্থা চূর্ণবিচূর্ণ হতে লাগলো সাঁওতাল বাহিনীর আক্রমণে ৮০ মাইল ব্যাপী বিদ্রোহী অঞ্চলে নিয়োজিতঃ- ১২ শত ব্রিটিশ সৈন্যকে খুঁজে পাওয়া যায়নি. !!!””””””””
দিনদিন সিদু.&.কানুর নেতৃত্বেঃ- সাঁওতাল বাহিনী অগ্রসর হতে থাকলে
ভাগলপুরের কমিশনার এই অঞ্চলের
ভারপ্রাপ্ত সামরিক অধিনায়কঃ- মেজর বারোজকে তার বাহিনী নিয়ে সাঁওতাল বাহিনীকে প্রতিরোধ করার নির্দেশ দেন. !!!””””””””
১৮৫৫ সালের ১৬ জুলাই ভাগলপুর জেলার পিয়ালাপুরের কাছে পীরপাইতির ময়দানে
ইংরেজ মেজর বারোজঃ- বিরাট সৈন্য বাহিনী নিয়ে সিদু.&.কানুর বাহিনীকে আক্রমণ করলে উভয় পক্ষের মধ্যে প্রচণ্ড যুদ্ধ হয়. !!!””””””””
যুদ্ধে ইংরেজ বাহিনী পরাজিত হয়.&.ইংরেজ বাহিনীর অনেকেই হতাহত হয়. !!!”””””””””
এছাড়া বীরভূম# বাঁকুড়া# মুর্শিদাবাদ জেলায় ইংরেজ সেনা# পুলিশ# জমিদারঃ- মহাজনেরা পরাজিত হতে লাগলো এসব অঞ্চলে বৃটিশ শাসন অচল হয়ে পড়লো. !!!””””””””
ভারতে বৃটিশ শাসন.&.শোষণেরঃ-
মূল সহযোগী ছিলঃ- জমিদার মহাজন# নায়েব# গোমস্তা# পুলিশ, আমলা.&.কর্মচারী. !!!”””””””””
এদের শোষণ লুণ্ঠন# নিপীড়ন# নির্যাতনে সারা ভারতের নিপীড়িত কৃষক সম্প্রদায় গণমানুষ অতিষ্ঠ হয়ে লড়াই সংগ্রামে ঝুঁকে পড়ে. !!!”””””””””
সারাভারতে কৃষকদের বিদ্রোহ# স্বাধীনতা.& শোষণমুক্তির- লড়াই সংগ্রাম চলতে থাকে. !!!””””””””
যদিও সাঁওতাল বিদ্রোহ সফল হয় নাই# কিন্তু ভারতীয় উপ মহাদেশে সাঁওতাল বিদ্রোহ বৃটিশ সাম্রাজ্যবাদ তাদের পদলেহী দালাল# জমিদার# মহাজন# আমলা.&.কর্মচারী জোট বিরোধী শোষণমুক্তির সংগ্রাম.&.জাতীয় স্বাধীনতার লড়াইয়ের সূচনা করেছিল. !!!””””””””””
কৃষক জনতাকে বিদ্রোহ# লড়াইঃ- সংগ্রাম স্বাধীনতার.&.মুক্তির জন্য অনুপ্রেরণা যুগিয়েছিল. !!!”””””””””
সিদু# কানু# চাঁদ# ভৈরব.&.তাদের বাহিনী স্বাধীনতা ও মুক্তির জন্য প্রাণ দিয়েছিল. !!!”””””””””
কিন্তু পাক ভারত.&.বাংলাদেশে আজও আদিবাসী# কৃষক# শ্রমিক.&.মেহনতী মানুষের মুক্তি অর্জিত হয়নি. !!!”””””””””
বরং শোষণ# লুণ্ঠন.&.নিপীড়ন দিনদিন বেড়েই চলেছে# সেইদিনই সিদু.&.কানুসহ সকল বিপ্লবী শহীদের রক্তদান স্বার্থক হবে# যেদিন শোষক.&.লুণ্ঠকদের কবল থেকে কৃষক# শ্রমিক# আদিবাসী# মেহনতী মানুষ মুক্তি পাবে. !!!”””””””
সাঁওতাল বিদ্রোহ দিবসে মহান বিপ্লবী সিদু# কানু# চাঁদ.&.ভৈরব সহ সাঁওতাল বিদ্রোহের বীর সেনানীদের প্রতি রইলো বিনম্র শ্রদ্ধা.& লাল সালাম. !!!””””””””
কার্টেসি
সংগৃহিত