বাংলার চেরাপুঞ্জি’ তে লড়াই জমছে। লাল পতাকায় সাজছে গ্রাম। তুফানগঞ্জের চিমটা মোড় থেকে নাককাটি হয়ে বালাভূত। কালজানি, রায়ডাক, ঘরঘড়ি, বুড়া ও তোর্ষা নদী ঘেরা তিন চরে বাস করেন মূলত সংখ্যালঘুর মানুষের।কালজানি তীব্র। প্রবল। আর তার চেয়েও প্রবল চরে গ্রামবাসীদের প্রতিরোধ। এখানে বিএসএফের কথাই শেষ। কিছু হলেই লিখিত অনুমতিপত্র দেখাতে হবে মহকুমা শাসকের। দৈনিক বিভ্রাটের মধ্যে চলতে হয় সেখানকার বাসিন্দাদের।তুফানগঞ্জ ১ ব্লকের অন্তর্ভুক্ত এই পঞ্চায়েতেই এবার জোর লড়াই। বালাভূত গ্রাম পঞ্চায়েতে ১৬টি আসনের মধ্যে ১৫টিতে এবার রয়েছেন সিপিআই(এম) প্রার্থী। দুর্গমতম চর বালাভূতে রয়েছেন সিপিআই(এম)’র দুই পঞ্চায়েত প্রার্থী। ভোটে দাঁড়িয়ে এবার রীতিমতো সাড়া ফেলে দিয়েছেন কেল্লাবাড়ির বাসিন্দা গোলাম সোভান মিঞা আর বড়াইবাড়ির বাসিন্দা সকিনা বিবি। ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির এবারের প্রার্থী ওই এলাকার মিজানুর রহমান। যেখানে যখন শাসক দল সন্ত্রাস চালানোর চেষ্টা করেছে, সেখানেই পার্টির প্রচার মিছিলে মানুষের ঢল নেমেছে।গত পাঁচ বছরে বালাভূত এলাকার এতটুকু কোনও পরিবর্তন হয়নি। বালাভূত বিদ্যাসাগর উচ্চ বিদ্যালয় এবং বালাভূত উচ্চ বিদ্যালয়ে স্থায়ী শিক্ষক প্রায় নেই-ই। চুক্তিভিত্তিক শিক্ষক দিয়ে কোনমতে সেখানে চলছে পঠনপাঠন। মধ্য চরে বালাভূত উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র বন্ধ। সেখানে একসময় শুধু চিকিৎসা নয়, ছিল রোগী ভর্তির ব্যবস্থা। এখন সেখানে কলাচাষ হচ্ছে।রাস্তাঘাটের সমস্যার সঙ্গে গ্রামীণ মানুষের স্বাস্থ্য-শিক্ষা এখানে চরম উপেক্ষিত। করোনা লকডাউন একেবারে নিঃস্ব করে দিয়েছে ওইসব মানুষকে। তার ওপর চলছে নায্য পাওনা নিয়ে রাজনীতি। এবার তাই ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই।