কবে থেকে খেটে খেটেজীবন হলো মাটি

কবে থেকে খেটে খেটে

জীবন হলো মাটি

এই দেখো আমি এখন

লাঠি নিয়ে হাঁটি।

বাজার করা রেশন তোলা

 আজও করে যাই

অনেক দিন পরে দেখা

কেমন আছো ভাই?

একসাথে খাওয়া দাওয়া

ওঠা বসা ছিল

সেগুলো কীভাবে যে

কোথায় চলে গেল।

কথা শুনে লক্ষণ দাস

বললো মৃদু হেসে

দিন গুলো সব চলে গেছে

ঘামের স্রোতে ভেসে।

ছেলে মেয়ে মানুষ করা

নয় তো ভাই সোজা

সব কিছুই হারিয়ে গেছে

টানতে বাড়ির বোঝা।

ত্যাগ করেছি নিজের আশা

কন্ঠে ভরা গান

সংসারে জীবনটাকে

করে দিলাম দান।

ছেলে মেয়ের বিয়ে দিলাম

থাকবো বলে সুখে

এখনও না খাটলে

ভাত ওঠে না মুখে।

বৌমাদের ফাই ফরমাস্

প্রতিদিনই খাটি

গান বাজনা ছেড়ে দিয়ে

জীবন হলো মাটি।

হারমনিয়াম ডুগি তবলা

পড়ে আছে ঘরে

ওসব কথা ভাবলে ভাই

মনটা কেমন করে।

সূর্য ডোবার সময় হলো

গড়িয়ে গেছে বেলা

চোখ বুঁজলেই সাঙ্গ হবে

এ জীবনের খেলা।

অনেক দেরি হয়ে গেল 

এবার আমি যাই

আবার হবে কি না দেখা

কারও জানা নাই।

শুধু জানি হারিয়ে যাবো

আসবো না আর ফিরে

রূপ যৌবন চলে গেছে

কোন সে তিমিরে।

শরীর এখন হয়ে গেছে

নানা রোগের বাসা

কুড়ে কুড়ে খেয়ে নিলো

আশা ভালবাসা।

                                অরবিন্দ চক্রবর্তী

                           ৯ ই অক্টোবর ২০২৩

Loading