Bangladesh Archives - Asia Commune https://asiacommune.org/category/bangladesh/ Equality & Solidarity Mon, 17 Nov 2025 21:04:22 +0000 en-US hourly 1 https://wordpress.org/?v=6.9 https://asiacommune.org/wp-content/uploads/2025/05/cropped-New_Logo_02-32x32.png Bangladesh Archives - Asia Commune https://asiacommune.org/category/bangladesh/ 32 32 Bangladesh: The Contemporary Political Situation (2024–2025) https://asiacommune.org/2025/11/17/bangladesh-the-contemporary-political-situation-2024-2025/ Mon, 17 Nov 2025 21:04:19 +0000 https://asiacommune.org/?p=11161 By Badrul Alam13 November 2025, Dhaka

The post Bangladesh: The Contemporary Political Situation (2024–2025) appeared first on Asia Commune.

]]>

By

Badrul Alam
13 November 2025, Dhaka

Loading

The post Bangladesh: The Contemporary Political Situation (2024–2025) appeared first on Asia Commune.

]]>
বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি: পরিবর্তনের সন্ধিক্ষণে এক সমাজ https://asiacommune.org/2025/11/10/%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%82%e0%a6%b2%e0%a6%be%e0%a6%a6%e0%a7%87%e0%a6%b6%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%b8%e0%a6%be%e0%a6%ae%e0%a7%8d%e0%a6%aa%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%a4%e0%a6%bf%e0%a6%95-%e0%a6%b0%e0%a6%be/ Mon, 10 Nov 2025 23:55:47 +0000 https://asiacommune.org/?p=11129 বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি: পরিবর্তনের সন্ধিক্ষণে এক সমাজ বাংলাদেশের রাজনীতি আজ এমন এক সংকটময় অবস্থায় দাঁড়িয়েছে, যেখানে রাষ্ট্র, সমাজ, অর্থনীতি এবং জনমতের সব স্তরে অনিশ্চয়তা, বিভাজন এবং হতাশার ছায়া বিরাজ করছে। স্বাধীনতার অর্ধশতাব্দী পেরিয়েও দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতি যেমন পরিণত হওয়ার কথা ছিল, বাস্তবে তা হয়নি। বর্তমান রাজনীতি একদিকে ক্ষমতার কেন্দ্রীভবন ও দলীয় একচ্ছত্র প্রভাবের মধ্যে বন্দি, অন্যদিকে সাধারণ মানুষের মধ্যে আস্থাহীনতা, অবিশ্বাস এবং রাজনৈতিক অনাগ্রহের গভীর ছায়ায় আচ্ছন্ন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি বোঝার জন্য শুধু দলীয় প্রতিদ্বন্দ্বিতা নয়, বরং সমাজবিন্যাস, রাষ্ট্রব্যবস্থা, প্রশাসনিক কাঠামো, গণমাধ্যম, অর্থনৈতিক বৈষম্য…

The post বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি: পরিবর্তনের সন্ধিক্ষণে এক সমাজ appeared first on Asia Commune.

]]>

বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি: পরিবর্তনের সন্ধিক্ষণে এক সমাজ

বাংলাদেশের রাজনীতি আজ এমন এক সংকটময় অবস্থায় দাঁড়িয়েছে, যেখানে রাষ্ট্র, সমাজ, অর্থনীতি এবং জনমতের সব স্তরে অনিশ্চয়তা, বিভাজন এবং হতাশার ছায়া বিরাজ করছে। স্বাধীনতার অর্ধশতাব্দী পেরিয়েও দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতি যেমন পরিণত হওয়ার কথা ছিল, বাস্তবে তা হয়নি। বর্তমান রাজনীতি একদিকে ক্ষমতার কেন্দ্রীভবন ও দলীয় একচ্ছত্র প্রভাবের মধ্যে বন্দি, অন্যদিকে সাধারণ মানুষের মধ্যে আস্থাহীনতা, অবিশ্বাস এবং রাজনৈতিক অনাগ্রহের গভীর ছায়ায় আচ্ছন্ন।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি বোঝার জন্য শুধু দলীয় প্রতিদ্বন্দ্বিতা নয়, বরং সমাজবিন্যাস, রাষ্ট্রব্যবস্থা, প্রশাসনিক কাঠামো, গণমাধ্যম, অর্থনৈতিক বৈষম্য এবং তরুণ প্রজন্মের মানসিক অবস্থা—সব দিকের বিশ্লেষণ জরুরি। এই প্রেক্ষাপট বোঝার জন্য ২০১৮ সালের নির্বাচন, ২০২৪ সালের দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন এবং পরবর্তী ঘটনাপ্রবাহ গুরুত্বপূর্ণ।

স্বাধীনতা পরবর্তী রাজনৈতিক ইতিহাস

১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের পর বাংলাদেশ একটি নতুন রাষ্ট্র হিসেবে স্বাধীনতা লাভ করেছিল। স্বাধীনতার প্রাথমিক দশকে দেশ গঠনের প্রধান চ্যালেঞ্জ ছিল রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, অর্থনৈতিক পুনর্গঠন এবং সমাজের বিভাজন দূরীকরণ। তৎকালীন শাসকশ্রেণির নেতৃত্বে দেশের রাজনীতি সামাজিক ন্যায়, সমবায় এবং জনগণের অংশগ্রহণের দিকে কিছুটা এগোচ্ছিল যদিও তার শেষটা ছিল নৈরাজ্যকর, ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও দুর্ভিক্ষ জর্জরিত। 

কিন্তু ১৯৭৫ সালের আগস্টে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে ক্ষমতার পট পরিবর্তনের দেশের রাজনৈতিক গতিশীলতা হঠাৎ থেমে যায়। পরবর্তী বছরগুলোতে সামরিক হস্তক্ষেপ, রাষ্ট্রের কেন্দ্রীকরণ, দলীয় ক্ষমতার স্থিতিশীলতা এবং বিরোধীদের ওপর দমনপ্রবণতা বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিকে গভীরভাবে প্রভাবিত করেছে। ১৯৮০ ও ১৯৯০-এর দশকে দেশ বারবার সেনাশাসন এবং সাময়িক সরকারের পরিবর্তন দেখেছে। এই প্রেক্ষাপট বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে সহিংসতা, বিভাজন এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতার ধারাবাহিক ধারা তৈরি করেছে।

১৯৯১ সালে গণতান্ত্রিক সরকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা হলেও রাজনীতির কেন্দ্রীকরণ, ক্ষমতার একচ্ছত্র দখল, এবং বিরোধী দলের ওপর মামলা-গ্রেপ্তার ও প্রশাসনিক চাপের ধারা অব্যাহত রয়েছে। বিএনপি এবং আওয়ামী লীগ প্রধান রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে দেশের রাজনীতিকে দখল করে রেখেছে, যেখানে নির্বাচনের প্রকৃত অর্থ—জনগণের অংশগ্রহণ এবং প্রভাব—ক্রমশ কমে যাচ্ছে।

নির্বাচনী প্রক্রিয়া ও একতরফা রাজনীতি

২০১৮ সালের নির্বাচনের পর বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া একটি বড় ধরনের সংকটের মুখোমুখি হয়। নির্বাচনের আগে বিরোধী দলের অভিযোগ, প্রশাসনের পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ এবং নির্বাচন কমিশনের সীমিত সক্ষমতা নির্বাচনের বৈধতা প্রশ্নবিদ্ধ করে। ২০২৪ সালের দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি এবং অন্যান্য বিরোধী দল অংশগ্রহণ না করে দাবি করে যে সরকারের অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু হতে পারে না। ফলস্বরূপ, আওয়ামী লীগ একতরফা বিজয় অর্জন করে এবং সংসদে কার্যত কোনো কার্যকর বিরোধী দল ছিল না।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা এটিকে ‘নির্বাচনী গণতন্ত্রের ছায়া’ বলে অভিহিত করেছেন—যেখানে নির্বাচন আছে, কিন্তু ভোটারদের অংশগ্রহণ, প্রতিদ্বন্দ্বিতা এবং জবাবদিহিতা প্রায় অনুপস্থিত। নির্বাচন কেবল আনুষ্ঠানিকতা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই পরিস্থিতি শুধুমাত্র রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান নয়, সাধারণ মানুষের মধ্যে রাজনৈতিক উদ্দীপনা এবং আস্থাকেও ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।

নির্বাচনের বিশদ বিশ্লেষণ দেখায় যে, ভোটার অংশগ্রহণ কমে গেছে, ভোটকেন্দ্রে প্রভাব রয়েছে, স্থানীয় প্রশাসন প্রায়শই পক্ষপাতমূলক আচরণ করছে এবং নিরাপত্তা বাহিনী রাজনৈতিক দলের প্রভাবের মধ্যে। ফলে নির্বাচনের প্রকৃত অর্থ—জনগণের অংশগ্রহণ এবং প্রভাব—ক্রমশ হারাচ্ছে।

অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমিকা ও সীমাবদ্ধতা

২০২৪ সালের নির্বাচনের প্রেক্ষাপটে সংবিধান অনুযায়ী একটি অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হয়। তাদের মূল লক্ষ্য ছিল নির্বাচনের স্বচ্ছতা, প্রশাসনিক স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা, জনগণের আস্থা পুনঃস্থাপন এবং রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপের মাধ্যমে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখা। তারা মূলত “অস্থায়ী প্রশাসক” হিসেবে কাজ করেছে। 

অন্তর্বর্তী সরকারের কার্যক্রমের মধ্যে ছিল:

প্রশাসনিক তদারকি ও সরকারি কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ

ভোটকেন্দ্র পর্যবেক্ষণ ও অভিযোগের দ্রুত নিষ্পত্তি

নির্বাচন কমিশন ও রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সমন্বয়

জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রশাসনের স্বচ্ছতা নিশ্চিতকরণ

তবে ক্ষমতার কেন্দ্রীভবন ও রাজনৈতিক চাপের কারণে তাদের কার্যক্রম প্রায়শই সীমিত ছিল। প্রশাসনিক কাঠামো ও নিরাপত্তা বাহিনী এখনও মূল রাজনৈতিক দলের প্রভাবের মধ্যে থাকায়, অন্তর্বর্তী সরকারের কার্যক্রম প্রায়শই আনুষ্ঠানিকতার মাত্রা পর্যন্ত সীমাবদ্ধ।

সামাজিক আন্দোলনকারীরা অভিযোগ করেছে, অন্তর্বর্তী সরকার স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারেনি। প্রশাসনিক সীমাবদ্ধতা, দলীয় প্রভাব এবং রাজনৈতিক চাপ অন্তর্বর্তী সরকারের কার্যকারিতাকে প্রায়শই সীমিত করেছে।

গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ও আস্থা

বর্তমান পরিস্থিতি বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি আস্থা দুর্বল করেছে। সংসদ, নির্বাচন কমিশন, বিচারব্যবস্থা, বিশ্ববিদ্যালয় এবং গণমাধ্যম—সবই রাজনৈতিক দলের প্রভাবের বাইরে নয়। ফলে জনগণের মধ্যে রাজনৈতিক বিকল্পের অভাব সৃষ্টি হয়েছে। নাগরিক সমাজের একটি অংশ মনে করে, রাষ্ট্র ক্রমে একটি নিয়ন্ত্রিত গণতন্ত্রের মডেলে রূপ নিয়েছে—যেখানে বিরোধিতার স্থান সীমিত, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সংকুচিত, এবং প্রশাসন দলীয় শাসন রক্ষার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।

গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে আস্থাহীনতা শুধু ভোট প্রক্রিয়ার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং বিচার ব্যবস্থার ধীরগতি, সাংবাদিকদের ওপর চাপ, এবং সামাজিক আন্দোলনের দমন প্রক্রিয়ার মধ্যেও দেখা যায়। ফলে জনগণ রাজনৈতিক সংলাপে অংশগ্রহণে অনীহা প্রকাশ করছে।

অর্থনীতি ও রাজনৈতিক প্রভাব

বাংলাদেশের অর্থনীতি বিগত এক দশকে প্রশংসনীয় অগ্রগতি দেখিয়েছে। তবে এই প্রবৃদ্ধি অসম উন্নয়ন, বৈষম্য এবং সম্পদের কেন্দ্রীভূতির উপর ভিত্তি করে। বৈদেশিক ঋণনির্ভর অবকাঠামো প্রকল্প, রপ্তানিমুখী পোশাক শিল্প এবং প্রবাসী আয়—এই তিনটি অর্থনৈতিক স্তম্ভ দেশের সম্পদকে সীমিত গোষ্ঠীর হাতে কেন্দ্রীভূত করছে।

ধনী-গরিব ব্যবধান বৃদ্ধি, শহর-গ্রামের বৈষম্য, এবং সম্পদের অভ্যন্তরীণ কেন্দ্রীভূতি রাজনীতিতে সরাসরি প্রভাব ফেলছে। রাজনীতি ক্রমশ ব্যবসায়িক বিনিয়োগের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে, সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণ ভোটার বা সমর্থকের ভূমিকায় সীমিত। রাজনৈতিক দলগুলো ক্ষমতা ধরে রাখতে এবং নির্বাচনী সুবিধা অর্জনের জন্য আর্থিক ও প্রশাসনিক সম্পদের ওপর নির্ভরশীল। ফলে রাজনৈতিক প্রতিযোগিতা জনগণের প্রয়োজন ও দাবি থেকে অনেক দূরে সরে গেছে।

অর্থনৈতিক বৈষম্য শুধু রাজনৈতিক প্রভাবই নয়, সামাজিক অস্থিরতার সূচনা করেছে। অভ্যন্তরীণ অর্থনৈতিক বৈষম্য, গ্রামীণ ও শহুরে জীবনের মধ্যে পার্থক্য, এবং প্রাথমিক শিক্ষার অভাবের কারণে সামাজিক সংহতি কমে যাচ্ছে।

তরুণ প্রজন্ম ও সামাজিক পরিবর্তন

বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় তরুণ প্রজন্ম ক্রমশ বিমুখ হচ্ছে। একদিকে তারা রাজনৈতিক দল ও প্রচলিত আন্দোলনে অংশগ্রহণ কমাচ্ছে, অন্যদিকে সামাজিক, পরিবেশগত, এবং ডিজিটাল মাধ্যমে সক্রিয়। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো একসময় রাজনৈতিক চিন্তা ও আন্দোলনের কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত ছিল। ১৯৭০-৮০-এর দশকে ছাত্রসংগঠনগুলো মূলত দেশের রাজনৈতিক পরিবর্তনের চালিকা শক্তি ছিল। ছাত্র আন্দোলন, শিক্ষার অধিকার, গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠা—সব ক্ষেত্রেই তারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল।

আজকের তরুণদের রাজনৈতিক দৃশ্যপট সম্পূর্ণ ভিন্ন। তারা রাজনীতি মানে হিসেবে বর্ণনা করছে—দলবাজি, দুর্নীতি, ক্ষমতার লোভ এবং সহিংসতা। এই ধরণের অবমূল্যায়নের কারণে রাজনৈতিক অংশগ্রহণ কমেছে। তবে সামাজিক মাধ্যম, যেখানে রাজনৈতিক আলোচনা প্রবল, অনেক সময় বিভাজন, ঘৃণা এবং প্রচারণার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এই প্রেক্ষাপটে তরুণরা রাজনৈতিক আলাপের সংস্কৃতিকে আবেগ ও মেরুকরণের দিকে ঘুরিয়ে দিচ্ছে।

তবুও, এই প্রজন্ম সামাজিক ও পরিবেশগত আন্দোলনে সক্রিয়। তারা নারী অধিকার, জলবায়ু ন্যায্যতা, স্থানীয় উন্নয়ন এবং উদ্যোক্তা কার্যক্রমে সম্পৃক্ত। ডিজিটাল প্রযুক্তি এবং সামাজিক মাধ্যম তাদেরকে প্রচলিত দলীয় কাঠামোর বাইরে থেকে কাজ করার সুযোগ দিচ্ছে। এতে রাজনৈতিক অংশগ্রহণের নতুন রূপ, নতুন ধারণা এবং উদ্ভাবনী পদ্ধতি জন্ম নিচ্ছে।

বিরোধী দল ও রাজনৈতিক ভারসাম্য

বর্তমান বাংলাদেশে বিরোধী দলগুলোর রাজনীতি এক ধরনের অস্তিত্ব সংকটে রয়েছে। বিএনপি দীর্ঘদিন রাজনৈতিকভাবে দুর্বল, নেতৃত্বের সংকট, মামলা-গ্রেপ্তার, সাংগঠনিক অচলাবস্থা এবং জনসংযোগের ঘাটতি তাদের কার্যক্রমকে প্রায় স্থবির করে রেখেছে। আন্দোলনের ডাক দিলেও মাঠে কার্যকর উপস্থিতি সীমিত। জনগণের মধ্যে যে হতাশা ও ক্ষোভ রয়েছে, তা এখনও কোনো শক্তিশালী রাজনৈতিক বিকল্পে রূপ নিতে পারেনি।

ইসলামপন্থী রাজনীতি, বিশেষত জামায়াত ইসলামি, বর্তমানে বৈধ রাজনৈতিক দল হিসেবে অংশগ্রহণ করছে। তারা ধর্মীয় আবেগ ব্যবহার করে কিছু অংশে প্রভাব বজায় রাখছে, তবে বৃহত্তর রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে তাদের প্রভাব সীমিত। জামায়াতের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড প্রায়শই সামাজিক মিডিয়া এবং প্রবাসভিত্তিক নেটওয়ার্কের মধ্যে সীমাবদ্ধ।

বাম দলগুলোও —যারা স্বাধীনতার পর থেকে সমাজতান্ত্রিক রাজনীতির ধারক ছিল—প্রায় প্রান্তিক। সংগঠন ও নেতৃত্বের দুর্বলতা এবং জনগণের সঙ্গে সংযোগের অভাব তাদের প্রভাবকে সীমিত করেছে। তবুও শ্রমিক আন্দোলন, কৃষি ও পরিবেশ আন্দোলনের ক্ষেত্রে তারা নীতিগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

সরকারের উন্নয়ন কর্মসূচি ও আন্তর্জাতিক প্রভাব

বর্তমান সরকার দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতা এবং উন্নয়নের বার্তা প্রচার করছে। পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, বঙ্গবন্ধু টানেল, বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধি এবং ডিজিটাল অবকাঠামো উন্নয়নের মতো সাফল্য সরকারকে দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে কাজ করছে।

আন্তর্জাতিক পরিসরেও বাংলাদেশ কূটনীতি, শান্তিরক্ষা এবং আঞ্চলিক সংলাপে সক্রিয় ভূমিকা রাখছে। তবে সমালোচকরা বলছেন, এই উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের আড়ালে মানবাধিকার লঙ্ঘন, ভিন্নমত দমন এবং প্রশাসনের অতিরিক্ত রাজনৈতিকীকরণ চলছে। নতুন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রণয়নের পর সাংবাদিক ও নাগরিকদের উদ্বেগ বেড়েছে।

সাম্প্রতিক আন্তর্জাতিক পর্যালোচনা বলছে, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সফলতার সঙ্গে রাজনৈতিক সীমাবদ্ধতা এবং নাগরিক অধিকার সম্পর্কিত চ্যালেঞ্জও সমান্তরালভাবে বেড়ে চলেছে। এতে দেশের আন্তর্জাতিক ইমেজ কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি ও নাগরিক অংশগ্রহণ

বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতি ক্রমশ “নির্বাচনবিহীন রাজনীতি”-র দিকে ধাবিত হচ্ছে। নির্বাচন শুধুমাত্র আনুষ্ঠানিকতা, ক্ষমতার স্থানান্তর প্রায় অনুপস্থিত। দীর্ঘমেয়াদে এই অবস্থা গণতন্ত্রের মৌলিক ধারণাকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। সমাজবিজ্ঞানীরা বলছেন, নাগরিক অংশগ্রহণ ছাড়া কোনো গণতন্ত্র টিকে থাকতে পারে না।

অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমিকা এই প্রেক্ষাপটে গুরুত্বপূর্ণ। তারা প্রাথমিকভাবে প্রশাসনিক স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করতে কাজ করেছে। প্রশাসনিক তদারকি, ভোটকেন্দ্র পর্যবেক্ষণ, অভিযোগের দ্রুত নিষ্পত্তি এবং বিরোধী দলের সঙ্গে সংলাপের মাধ্যমে তারা চেষ্টা করেছে নির্বাচনকে স্বচ্ছ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক করার। তবে রাজনৈতিক চাপ, দলীয় প্রভাব এবং প্রশাসনিক সীমাবদ্ধতার কারণে এই উদ্যোগ সীমিতভাবে কার্যকর হয়েছে।

অন্তর্বর্তী সরকারের সীমাবদ্ধতা ও প্রভাব

অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচনের সময় প্রশাসনিক স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার চেষ্টা করলেও তাদের কার্যক্রম প্রায়শই আনুষ্ঠানিকতার স্তরে সীমাবদ্ধ। প্রশাসন ও নিরাপত্তা বাহিনীর দলীয় প্রভাব, বিরোধী দলের অসহযোগিতা এবং রাজনৈতিক চাপ তাদের কার্যকারিতাকে সীমিত করেছে। ফলে নাগরিক আস্থা পূর্ণরূপে পুনঃস্থাপিত হয়নি।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, অন্তর্বর্তী সরকারের এই সীমিত কার্যক্রম রাজনৈতিক সংলাপ এবং স্থিতিশীলতা অর্জনের পথে বড় বাধা সৃষ্টি করেছে।

ভবিষ্যতের রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ

২০২৫ সালের বাস্তবতায় বাংলাদেশের রাজনীতির সামনে তিনটি বড় চ্যালেঞ্জ স্পষ্ট।

১. গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান পুনর্গঠন: নির্বাচন, বিচারব্যবস্থা এবং প্রশাসনকে জনগণের আস্থায় ফিরিয়ে আনা। নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীন, স্বচ্ছ এবং রাজনৈতিক চাপমুক্ত করা। বিচারব্যবস্থায় ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা এবং প্রশাসনের কার্যক্রমকে দলীয় প্রভাব থেকে মুক্ত করা।

২. অর্থনৈতিক বৈষম্য ও দুর্নীতি মোকাবিলা: ধনী-গরিবের ব্যবধান হ্রাস, শহর-গ্রামের বৈষম্য সমন্বয়, এবং অর্থনীতিতে রাজনৈতিক স্বচ্ছতা প্রতিষ্ঠা করা। বৈদেশিক ঋণনির্ভর প্রকল্প, রপ্তানিমুখী পোশাক শিল্প এবং প্রবাসী আয় কেন্দ্রীভূত করার পরিবর্তে জনগণের বৃহত্তর কল্যাণে অর্থনীতিকে ব্যবহার করা।

৩. রাজনীতির নৈতিক ভিত্তি পুনঃপ্রতিষ্ঠা: রাজনীতি যেন কেবল ক্ষমতা ও সম্পদের প্রতিযোগিতা না হয়ে সমাজের সেবা এবং জনস্বার্থের মাধ্যম হয়। রাজনৈতিক দলগুলোকে জনগণের কল্যাণ এবং ন্যায়বিচারের প্রতি দায়বদ্ধ করা।

ভবিষ্যতের রাজনীতি ও তরুণ প্রজন্ম

ডিজিটাল যুগের তরুণ প্রজন্ম সামাজিক উদ্যোগ, উদ্যোক্তা কার্যক্রম, নারী অধিকার, জলবায়ু ন্যায্যতা এবং স্থানীয় উন্নয়নে সক্রিয়। তারা প্রচলিত দলীয় কাঠামোর বাইরে থাকলেও সামাজিক পরিবর্তনে আগ্রহী। এই প্রজন্মের সক্রিয় অংশগ্রহণ ভবিষ্যতে রাজনীতিতে নতুন ধারা সৃষ্টি করতে পারে।  

বিশ্ববিদ্যালয়গুলো একসময় রাজনৈতিক চিন্তা ও আন্দোলনের কেন্দ্র ছিল। বর্তমানে ছাত্রসংগঠনগুলোর কার্যক্রম সীমিত। সামাজিক মাধ্যম রাজনৈতিক আলোচনা প্রায়শই বিভাজন, ঘৃণা এবং প্রচারণার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে। তবে একই সময়ে এটি তরুণদের জন্য রাজনৈতিক সচেতনতা এবং স্থানীয় উদ্যোগে অংশগ্রহণের নতুন মাধ্যম হিসেবেও কাজ করছে।

সমাপনী: রাজনৈতিক আত্মসমালোচনা ও নতুন সূচনা

বাংলাদেশের রাজনীতি আজ এক ধরনের আত্মসমালোচনার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছে। শাসক ও বিরোধী উভয় পক্ষকেই ভাবতে হবে—রাজনীতি কাকে ঘিরে? ক্ষমতা না কি মানুষকে? উন্নয়ন কি শুধুই অবকাঠামো, না কি নাগরিক মর্যাদা ও স্বাধীনতারও উন্নয়ন?

আজকের বাংলাদেশ ইতিহাসের এক মোড়ে—যেখানে অতীতের সংগ্রাম ও বর্তমান বাস্তবতার মাঝে ভবিষ্যতের রাজনীতির বীজ রোপিত হচ্ছে। এই বীজকে লালন করতে পারলেই দেশ এগোতে পারবে নতুন রাজনৈতিক পরিণতির পথে, যেখানে শাসন, বিরোধিতা, স্বাধীনতা এবং ন্যায় একসঙ্গে সহাবস্থান করবে।

বাংলাদেশের রাজনীতি এমন এক পর্যায়ে এসেছে যেখানে রাজনৈতিক সংলাপ, নাগরিক অংশগ্রহণ, স্বচ্ছতা এবং সামাজিক উদ্যোগ একত্রিত হলে দেশকে একটি স্থিতিশীল, অংশগ্রহণমূলক এবং গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে রূপান্তরিত করা সম্ভব। অন্তর্বর্তী সরকারের সীমাবদ্ধ হলেও তাদের কার্যক্রম প্রমাণ করেছে যে স্বচ্ছ প্রশাসন এবং রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণের মধ্যে ভারসাম্য সৃষ্টি করা যায়।

ভবিষ্যৎ রাজনীতি এই দিশায় এগিয়ে গেলে বাংলাদেশ কেবল অর্থনৈতিকভাবে সফল নয়, সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে সচেতন ও অংশগ্রহণমূলক রাষ্ট্রও হয়ে উঠবে।

লেখক: বদরুল আলম

তারিখ: ১০ নভেম্বর ২০২৫

স্থান: ঢাকা

Loading

The post বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি: পরিবর্তনের সন্ধিক্ষণে এক সমাজ appeared first on Asia Commune.

]]>
মহান অক্টোবর সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব ও লিওন ট্রটস্কির ভূমিকা https://asiacommune.org/2025/11/10/%e0%a6%ae%e0%a6%b9%e0%a6%be%e0%a6%a8-%e0%a6%85%e0%a6%95%e0%a7%8d%e0%a6%9f%e0%a7%8b%e0%a6%ac%e0%a6%b0-%e0%a6%b8%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%9c%e0%a6%a4%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a4%e0%a7%8d%e0%a6%b0/ Mon, 10 Nov 2025 06:04:46 +0000 https://asiacommune.org/?p=11115 মহান অক্টোবর সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব ও লিওন ট্রটস্কির ভূমিকা ভূমিকা: ২০শ শতাব্দীর সূচনালগ্ন ও রাশিয়ার সমাজ–অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট বিশ্ব ইতিহাসের মোড় ঘুরে গিয়েছিল ১৯১৭ সালের অক্টোবর মাসে। সেই বিপ্লব কেবল একটি দেশের রাজনৈতিক পালাবদল নয়, বরং মানবসভ্যতার দিকনির্দেশ পাল্টে দিয়েছিল। ইতিহাসে একে বলা হয় মহান অক্টোবর সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব—যা প্রথমবারের মতো শ্রমিক শ্রেণীর হাতে রাষ্ট্রক্ষমতা এনে দেয়, ব্যক্তিমালিকানার শৃঙ্খল ভেঙে সমাজতান্ত্রিক সমাজ গঠনের প্রথম পদক্ষেপ তৈরি করে। এর কেন্দ্রে ছিলেন ভ্লাদিমির ইলিচ লেনিন, আর তার কৌশলগত সংগঠন ও বাস্তবায়নের অন্যতম প্রধান কারিগর ছিলেন লিওন ট্রটস্কি। রাশিয়ার সাম্রাজ্যবাদী সমাজে তখন শোষণ, বৈষম্য ও দুর্ভিক্ষ…

The post মহান অক্টোবর সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব ও লিওন ট্রটস্কির ভূমিকা appeared first on Asia Commune.

]]>

মহান অক্টোবর সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব ও লিওন ট্রটস্কির ভূমিকা

ভূমিকা: ২০শ শতাব্দীর সূচনালগ্ন ও রাশিয়ার সমাজ–অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট

বিশ্ব ইতিহাসের মোড় ঘুরে গিয়েছিল ১৯১৭ সালের অক্টোবর মাসে। সেই বিপ্লব কেবল একটি দেশের রাজনৈতিক পালাবদল নয়, বরং মানবসভ্যতার দিকনির্দেশ পাল্টে দিয়েছিল। ইতিহাসে একে বলা হয় মহান অক্টোবর সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব—যা প্রথমবারের মতো শ্রমিক শ্রেণীর হাতে রাষ্ট্রক্ষমতা এনে দেয়, ব্যক্তিমালিকানার শৃঙ্খল ভেঙে সমাজতান্ত্রিক সমাজ গঠনের প্রথম পদক্ষেপ তৈরি করে। এর কেন্দ্রে ছিলেন ভ্লাদিমির ইলিচ লেনিন, আর তার কৌশলগত সংগঠন ও বাস্তবায়নের অন্যতম প্রধান কারিগর ছিলেন লিওন ট্রটস্কি।

রাশিয়ার সাম্রাজ্যবাদী সমাজে তখন শোষণ, বৈষম্য ও দুর্ভিক্ষ ছিল নিত্যসঙ্গী। কৃষকরা জমিদারদের দাসত্বে ক্লান্ত, শ্রমিকরা কারখানায় ১২-১৪ ঘণ্টা কাজ করেও অন্ন পেত না। সাম্রাজ্যবাদী যুদ্ধ (প্রথম বিশ্বযুদ্ধ) রাশিয়ার অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দেয়, কোটি কোটি সৈন্য নিহত ও ক্ষুধার্ত কৃষক-শ্রমিকরা দেশে ফিরে দেখে—শাসকেরা আগের মতোই মদ্যপান করছে, কিন্তু জনগণ মরে যাচ্ছে রুটি ও শান্তির অভাবে। এই পরিস্থিতিই রাশিয়ায় বিপ্লবের বীজ রোপণ করে।

জারতন্ত্র, সাম্রাজ্যবাদ ও শ্রমিক শ্রেণীর উত্থান

১৯শ শতাব্দীর শেষ থেকে রাশিয়ার পুঁজিবাদ দ্রুত বিকশিত হচ্ছিল। বিশাল কারখানা, রেলপথ, খনি ও শিল্পকেন্দ্র গড়ে ওঠে—বিশেষত পেত্রোগ্রাদ (পূর্বতন সেন্ট পিটার্সবার্গ), মস্কো, ও উরাল অঞ্চলে। কিন্তু এই বিকাশ মূলত বিদেশি মূলধননির্ভর ছিল—ফরাসি, ব্রিটিশ ও জার্মান পুঁজিপতিরা রাশিয়াকে অর্ধ-উপনিবেশে পরিণত করেছিল। ফলে রাশিয়ার শ্রমিক শ্রেণী দ্রুত সংহত হতে থাকে, একইসাথে দারিদ্র্য ও শ্রেণীবিরোধ তীব্র হয়।

১৯০৫ সালের বিপ্লব রাশিয়ার প্রথম বৃহৎ রাজনৈতিক জাগরণ। সে বছর শ্রমিকরা “রুটি, শান্তি ও স্বাধীনতা”র দাবিতে রক্তাক্ত আন্দোলন চালায়। “ব্লাডি সানডে”–তে রাজা দ্বিতীয় নিকোলাসের সৈন্যরা নিরস্ত্র শ্রমিকদের গুলি করে হত্যা করে। কিন্তু এই ব্যর্থ বিপ্লবও ছিল পরবর্তী বিপ্লবের “রিহার্সাল”—যেমন লেনিন পরবর্তীতে বলেছিলেন। সেই ১৯০৫-এই প্রথম গঠিত হয়েছিল “সোভিয়েত”—অর্থাৎ শ্রমিক পরিষদ—যা পরে অক্টোবর বিপ্লবের সময় রাষ্ট্রের প্রাথমিক রূপে পরিণত হয়।

ফেব্রুয়ারি বিপ্লব ও দ্বৈত ক্ষমতার জন্ম

১৯১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে জারতন্ত্র ভেঙে পড়ে। নারীরা রুটি চেয়ে মিছিলে নামে, শ্রমিকরা ধর্মঘট করে, সৈন্যরা বিদ্রোহে যোগ দেয়। এভাবেই প্রতিষ্ঠিত হয় “অস্থায়ী সরকার”—যার নেতৃত্বে ছিল বুর্জোয়া ও উদারপন্থীরা। কিন্তু একইসাথে শ্রমিক-সৈন্যদের হাতে গড়ে ওঠে পেত্রোগ্রাদ সোভিয়েত, অর্থাৎ এক বিকল্প ক্ষমতার কেন্দ্র। এর ফলে সৃষ্টি হয় “দ্বৈত ক্ষমতা” (Dual Power)—একদিকে অস্থায়ী বুর্জোয়া সরকার, অন্যদিকে শ্রমিকদের সোভিয়েত।

অস্থায়ী সরকার জনতার কাছে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল শান্তি, ভূমি ও রুটি; কিন্তু তারা যুদ্ধ চালিয়ে যায়, জমিদারদের স্বার্থ রক্ষা করে, আর কৃষক ও শ্রমিকদের দাবিকে উপেক্ষা করে। এই অবস্থায় বিপ্লবী পরিস্থিতি পরিপূর্ণভাবে পরিণত হচ্ছিল, কেবল দরকার ছিল সঠিক রাজনৈতিক নেতৃত্ব—যে নেতৃত্ব এই দ্বন্দ্বকে চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে যাবে।

বলশেভিক পার্টি, লেনিনের “এপ্রিল থিসিস” ও বিপ্লবের দিকনির্দেশ

লেনিন নির্বাসন থেকে ফেরেন এপ্রিল ১৯১৭-এ। ফিনল্যান্ড স্টেশনে তাঁর বিখ্যাত বক্তৃতায় তিনি বলেন—“সমস্ত ক্ষমতা সোভিয়েতের হাতে!” তাঁর “এপ্রিল থিসিস” ছিল বলশেভিক কৌশলের মোড় ঘোরানো ঘোষণা। সেখানে তিনি বলেন:

১) যুদ্ধ বন্ধ করে অবিলম্বে শান্তি স্থাপন,

২) জমিদারদের জমি কৃষকদের হাতে হস্তান্তর,

৩) ব্যাংক ও শিল্পকে রাষ্ট্রায়ত্তকরণ,

৪) বুর্জোয়া সংসদ নয়, বরং সোভিয়েত রাষ্ট্রব্যবস্থা।

লেনিন বুঝেছিলেন, অস্থায়ী সরকার জনগণের নয়—এটি বুর্জোয়া স্বার্থের ধারক। কিন্তু একইসময়ে তিনি জানতেন, বিপ্লব শুধু ইচ্ছায় ঘটে না; এর জন্য চাই সুনির্দিষ্ট রাজনৈতিক দিকনির্দেশ, সংগঠন ও কৌশল। এই পর্যায়েই ট্রটস্কির ভূমিকা ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে।

ট্রটস্কির রাজনৈতিক ও সংগঠনমূলক ভূমিকা

লিওন ট্রটস্কি (১৮৭৯–১৯৪০) ছিলেন মার্ক্সবাদী চিন্তাবিদ, বিপ্লবী কৌশলবিদ ও পরবর্তীতে লাল বাহিনীর প্রতিষ্ঠাতা। তিনি ১৯০৫ সালের বিপ্লবে পেত্রোগ্রাদ সোভিয়েতের সভাপতি ছিলেন, এবং তখন থেকেই তাঁর তত্ত্ব ছিল—“অবিরত বিপ্লব” (Permanent Revolution)—যেখানে তিনি যুক্তি দেন যে, অর্ধ-সামন্তবাদী সমাজে বুর্জোয়া বিপ্লব অসম্পূর্ণ থাকবে যতক্ষণ না শ্রমিক শ্রেণী ক্ষমতা গ্রহণ করে এবং সমাজতান্ত্রিক রূপান্তর ঘটায়।

এই তত্ত্বটি পরে অক্টোবর বিপ্লবে বাস্তব রূপ লাভ করে। ফেব্রুয়ারি বিপ্লব বুর্জোয়া বিপ্লব হলেও, এর অব্যবস্থাপনা ও অস্থিরতা শ্রমিকদের সামনে এক নতুন দিগন্ত উন্মুক্ত করে। ট্রটস্কি বলেন, “বিপ্লবের গতি কখনো থেমে থাকে না; এটি অবিরাম অগ্রসর হতে থাকে, যতক্ষণ না সমাজের সমস্ত দমন ও শোষণ বিলুপ্ত হয়।”

ট্রটস্কি ১৯১৭ সালের মে মাসে রাশিয়ায় ফিরে আসেন এবং দ্রুত বলশেভিকদের সঙ্গে যোগ দেন। জুলাই মাসে তিনি পেত্রোগ্রাদ সোভিয়েতের সভাপতি নির্বাচিত হন। তাঁর সাংগঠনিক দক্ষতা ও বক্তৃতা ছিল অসাধারণ। বিপ্লবের চূড়ান্ত প্রস্তুতিতে তিনি ছিলেন “সামরিক–বিপ্লবী কমিটি”র (Military Revolutionary Committee) প্রধান, যা অক্টোবর বিপ্লবের বাস্তবায়নের মূল কেন্দ্র হয়ে ওঠে।

অক্টোবর বিপ্লব: ঘটনাপ্রবাহ ও সশস্ত্র অভ্যুত্থান

১৯১৭ সালের অক্টোবর (রাশিয়ার পুরনো ক্যালেন্ডারে ২৫ অক্টোবর, নতুন ক্যালেন্ডারে ৭ নভেম্বর) রাতে ইতিহাসের সেই মহান মুহূর্ত আসে। পেত্রোগ্রাদে বলশেভিক নেতৃত্বাধীন সোভিয়েত বাহিনী একে একে টেলিগ্রাফ অফিস, ব্যাংক, ব্রিজ, স্টেশন, এবং সরকারি ভবন দখল করতে থাকে। অস্থায়ী সরকার ছিল প্রায় বিচ্ছিন্ন ও নিস্তেজ। ট্রটস্কির নেতৃত্বে সামরিক–বিপ্লবী কমিটি অত্যন্ত দক্ষতার সাথে পুরো অভিযান পরিচালনা করে।

লেনিন তখন গোপনে পেত্রোগ্রাদে অবস্থান করছিলেন; বিপ্লবের রাতে তিনি স্মলনি ইনস্টিটিউটে উপস্থিত হয়ে ঘোষণা দেন—“কর্মীদের এবং কৃষকদের বিপ্লব সফল হয়েছে!” ইতিহাসে প্রথমবারের মতো একটি শ্রমিক–কৃষক–সৈন্য সোভিয়েত সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করে। পরের দিন বলশেভিকরা ঘোষণা করে:

* সমস্ত জমি কৃষকদের মধ্যে বণ্টন করা হবে,

* যুদ্ধ অবিলম্বে বন্ধ করা হবে,

* শ্রমিকদের জন্য ৮ ঘণ্টার কর্মদিবস চালু হবে,

* রাষ্ট্রব্যবস্থা হবে সোভিয়েত গণতন্ত্রভিত্তিক।

অক্টোবর বিপ্লব প্রমাণ করেছিল যে, সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব কেবল স্বপ্ন নয়—এটি ইতিহাসের অবধারিত ধারা

শ্রমিক-সোভিয়েত রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠা ও প্রথম পদক্ষেপ।

লেনিনের নেতৃত্বে গঠিত হয় “জনকমিসারদের পরিষদ” (Council of People’s Commissars), যার গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন ট্রটস্কি—তিনি ছিলেন বিদেশ বিষয়ক কমিশার। তাঁর দক্ষ কূটনীতি ব্রেস্ট-লিতভস্ক চুক্তির (১৯১৮) মাধ্যমে যুদ্ধ বন্ধ করে রাশিয়াকে সাম্রাজ্যবাদী সংঘাত থেকে মুক্তি দেয়। যদিও এই চুক্তি ছিল কঠিন ও অসম, তবু এটি বিপ্লবী রাষ্ট্রকে রক্ষা করে পুনর্গঠনের সুযোগ এনে দেয়।

বলশেভিক সরকার জাতীয়করণ, জমি সংস্কার, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যব্যবস্থা পুনর্গঠন, নারীসমতা এবং জনগণের জন্য সামাজিক নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহণ করে। প্রথমবারের মতো শ্রমিক শ্রেণী রাষ্ট্র পরিচালনায় অংশগ্রহণ করতে শুরু করে। এ ছিল ইতিহাসে এক অভূতপূর্ব ঘটনা—যেখানে রাষ্ট্র আর দমনযন্ত্র নয়, বরং শ্রমিক শ্রেণীর হাতিয়ারে পরিণত হয়ে

গৃহযুদ্ধ, লাল বাহিনীর সংগঠন ও ট্রটস্কির নেতৃত্ব

বিপ্লবের পরপরই রাশিয়ার উপর নেমে আসে গৃহযুদ্ধের দুঃস্বপ্ন। “সাদা বাহিনী”—অর্থাৎ রাজতান্ত্রিক, বুর্জোয়া ও বিদেশি হস্তক্ষেপকারীরা বিপ্লবকে ধ্বংস করতে এগিয়ে আসে। তখন রাষ্ট্রের ভাগ্য নির্ভর করছিল এক সংগঠিত সামরিক শক্তির ওপর। এই পর্যায়ে ট্রটস্কি ছিলেন লাল বাহিনীর প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান সংগঠক।

ট্রটস্কি সামরিক প্রতিভার সঙ্গে শৃঙ্খলা, মনোবল ও বিপ্লবী স্পিরিটকে একীভূত করেন। তিনি রেলগাড়িতে করে ফ্রন্ট থেকে ফ্রন্টে ঘুরে সৈন্যদের উজ্জীবিত করতেন। তিনি বলতেন—“যে নিজের শ্রমিক রাষ্ট্রকে রক্ষা করতে জানে না, সে সমাজতন্ত্র রক্ষা করতে পারবে না।” তাঁর নেতৃত্বেই লাল বাহিনী ১৯২০ সালের মধ্যে সাদা বাহিনী ও বিদেশি হস্তক্ষেপকারীদের পরাজিত করে।

এই গৃহযুদ্ধের বিজয়ে ট্রটস্কির সংগঠন দক্ষতা ও আত্মত্যাগ ছিল অনন্য। লেনিন নিজে তাঁকে “বিপ্লবের তলোয়ার” বলে অভিহিত করেছিলেন।

আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া ও বিপ্লবের বৈশ্বিক প্রভাব

অক্টোবর বিপ্লব কেবল রাশিয়ার সীমা পেরিয়ে যায়নি; এটি পুরো বিশ্বের শোষিত ও নিপীড়িত মানুষের কাছে ছিল এক আশার বার্তা। মার্ক্সের তত্ত্ব বাস্তবে প্রমাণিত হয়—শ্রমিক শ্রেণী রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করতে পারে। ইউরোপে জার্মানি, হাঙ্গেরি, ইতালি, পোল্যান্ডে বিপ্লবী আন্দোলন জেগে ওঠে। এশিয়া, আফ্রিকা ও লাতিন আমেরিকায় উপনিবেশবিরোধী সংগ্রাম নতুন অনুপ্রেরণা পায়।

বাংলাদেশসহ উপমহাদেশের বহু বিপ্লবী তখন এই বিপ্লবের খবর পেয়ে নতুন পথ খুঁজে পান—মানবমুক্তির পথ।

লেনিন ও ট্রটস্কির নেতৃত্বে গঠিত হয় কমিন্টার্ন (Communist International)—যা আন্তর্জাতিক বিপ্লবের সংগঠন। এর মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কমিউনিস্ট পার্টি গঠিত হয়। এভাবেই অক্টোবর বিপ্লব বিশ্ববিপ্লবের সূচক হয়ে ওঠে।

লেনিন-ট্রটস্কি সম্পর্ক ও পরবর্তী বিতর্ক

লেনিন ও ট্রটস্কির মধ্যে রাজনৈতিক ঐক্য ছিল বিপ্লবের সময় গভীর, যদিও পূর্বে তাদের মধ্যে মতভেদ ছিল। লেনিন সংগঠনগত কেন্দ্রীকরণের পক্ষপাতী ছিলেন, আর ট্রটস্কি ছিলেন প্রথমদিকে কিছুটা সমালোচক। কিন্তু ১৯১৭ সালে বাস্তব পরিস্থিতি তাদের ঐক্যবদ্ধ করে। লেনিন বলেন, “ট্রটস্কি বুঝে নিয়েছেন যে বলশেভিক পার্টি ছাড়া বিপ্লব অসম্ভব।”

তবে লেনিনের মৃত্যুর পর (১৯২৪) পার্টির অভ্যন্তরে ক্ষমতার দ্বন্দ্ব শুরু হয়। স্তালিন প্রশাসনিক শক্তি দখল করেন, আর ট্রটস্কিকে পরবর্তীতে নির্বাসিত করা হয়। কিন্তু ইতিহাসের দৃষ্টিতে ট্রটস্কি ছিলেন বিপ্লবের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সংগঠক, তাত্ত্বিক ও সামরিক কৌশলবিদ। তাঁর “অবিরত বিপ্লব” তত্ত্ব পরবর্তীকালে চীন, কিউবা ও ভিয়েতনামের বিপ্লবেও প্রতিফলিত হয়।

ট্রটস্কি পরবর্তীতে বলেন—“রাশিয়ায় সমাজতন্ত্র বিকৃত হয়েছে, কিন্তু বিপ্লবের আদর্শ অমর।” তাঁর হত্যাকাণ্ড (১৯৪০, মেক্সিকো) বিশ্ববিপ্লবী আন্দোলনের ইতিহাসে এক কালো অধ্যায়, কিন্তু তাঁর চিন্তা আজও প্রাসঙ্গিক।

বিপ্লবের ঐতিহাসিক শিক্ষা ও উত্তরাধিকার

অক্টোবর বিপ্লব আমাদের শেখায়—

১. রাষ্ট্রক্ষমতা দখল না করলে মুক্তি অসম্ভব।

২. শ্রমিক শ্রেণীর ঐক্য ও রাজনৈতিক দলই বিপ্লবের কেন্দ্রীয় শর্ত।

৩. বিপ্লব কেবল একটি দেশে সীমিত নয়; এর আন্তর্জাতিক চরিত্র রয়েছে।

৪. বিপ্লবের পর রাষ্ট্রকে রক্ষা করা, পুনর্গঠন করা, ও সমাজতান্ত্রিক নীতি অনুসারে পুনর্বিন্যাস করা—এটাই শ্রেণীসংগ্রামের ধারাবাহিক রূপ।

আজকের পুঁজিবাদী সংকট, বৈশ্বিক অসমতা, যুদ্ধ ও পরিবেশ ধ্বংসের যুগে অক্টোবর বিপ্লবের শিক্ষা আবারও প্রাসঙ্গিক। ট্রটস্কির মতো নেতারা দেখিয়েছেন—বিপ্লব কেবল স্লোগান নয়, এটি বিজ্ঞান, সংগঠন ও আত্মত্যাগের সম্মিলন।

উপসংহার:

মহান অক্টোবর সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব মানব ইতিহাসের এক উজ্জ্বল সূর্যোদয়। এটি প্রমাণ করেছিল—শ্রমিক শ্রেণী কেবল উৎপাদন করে না, তারা রাষ্ট্র পরিচালনা করতে পারে; তারা নতুন সভ্যতা নির্মাণের ক্ষমতা রাখে। লেনিন ছিলেন এই বিপ্লবের মস্তিষ্ক, ট্রটস্কি ছিলেন এর হৃদয় ও তলোয়ার।

অক্টোবর বিপ্লবের উত্তরাধিকার আজও জীবিত—কিউবা, ভিয়েতনাম, লাতিন আমেরিকা, আফ্রিকার মুক্তিসংগ্রাম, কিংবা বাংলাদেশের কৃষক আন্দোলনের ভেতরেও আমরা সেই আদর্শের প্রতিধ্বনি শুনতে পাই।

যেমন ট্রটস্কি একবার বলেছিলেন—

 “তোমরা হয়তো আমাকে হত্যা করবে, কিন্তু তোমরা ইতিহাসকে হত্যা করতে পারবে না। অক্টোবর বিপ্লবের আলো পৃথিবীর প্রতিটি কোণে ছড়িয়ে পড়বে।”

আজও সেই আলো মানবমুক্তির পথ দেখায়।

অক্টোবর বিপ্লব কেবল অতীত নয়—এটি ভবিষ্যতের প্রতিশ্রুতি।

বদরুল আলম

৭ নভেম্বর ২০২৫ 

ঢাকা

Loading

The post মহান অক্টোবর সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব ও লিওন ট্রটস্কির ভূমিকা appeared first on Asia Commune.

]]>
 Umar was deeply engaged in the Left movement https://asiacommune.org/2025/09/07/his-writings-and-speeches-thus-became-weaponsin-the-hands-of-workers/ Sun, 07 Sep 2025 17:36:41 +0000 https://asiacommune.org/?p=10038 September 7, 2025, marks a day of deep mourning for Bangladesh’s political and cultural arena. On this day, we lost an uncompromising Marxist thinker, one of the foremost faces of the Left, and a tireless fighter with the pen–Comrade Badruddin Umar. Across nearly a century of life, he left behind a legacy of struggle, intellectual pursuit, and organizational leadership that remains an invaluable treasure for future generations. Born on December 20, 1931, in Bardhaman, West Bengal, into a politically conscious family, Umar grew up in an environment steeped in progressive…

The post  Umar was deeply engaged in the Left movement appeared first on Asia Commune.

]]>

September 7, 2025, marks a day of deep mourning for Bangladesh’s political and cultural arena. On this day, we lost an uncompromising Marxist thinker, one of the foremost faces of the Left, and a tireless fighter with the pen–Comrade Badruddin Umar. Across nearly a century of life, he left behind a legacy of struggle, intellectual pursuit, and organizational leadership that remains an invaluable treasure for future generations.

Born on December 20, 1931, in Bardhaman, West Bengal, into a politically conscious family, Umar grew up in an environment steeped in progressive ideals. His father, Abul Hashim, was a noted Muslim League leader who opposed communal politics and stood for progressive causes. These influences nurtured Umar’s early awareness of national liberation and social justice. After the Partition, he moved to East Bengal, pursued studies at Dhaka University, and later went to England, where he acquired a deep command of philosophy, history, and political science.

He began his career as a teacher at Dhaka University and later at Rajshahi University, where he became a beloved figure among students. Yet in 1968, he resigned from academia, convinced that the role of a true intellectual could not be confined to classrooms but had to be rooted in people’s struggles. That decision marked the beginning of his lifelong journey as an active political and cultural revolutionary.

Before independence, Umar was deeply engaged in the Left movement. As one of the leading figures of the East Pakistan Communist Party (Marxist–Leninist)–EPCP-ML–he provided both theoretical and organizational leadership against imperialism, Pakistani military rule, and communal politics. He stood with student and workers’ struggles, playing a crucial role in the 1969 mass uprising and broader democratic movements of the time.

His writings carved out a unique intellectual space in Bengali society. Works such as ‘Sampradayikata (1966)’, ‘Sanskritir Sankat (1967)’, and ‘Sanskritik Sampradayikata (1969)’ dissected the oppressive structures of Pakistani rule and the dangers of communal division. His extensive research on the Language Movement and East Bengal politics remains among the most authoritative historical accounts. In ‘The Emergence of Bangladesh’, he interpreted the Liberation War through the lens of class struggle. His monumental five-volume autobiography ‘Amar Jiban’ blends personal experience with the political and social history of Bangladesh.

During the Liberation War of 1971, Umar unequivocally supported independence, framing its true meaning within the context of socialist transformation. After independence, he became the General Secretary of the Communist Party of Bangladesh (Marxist–Leninist)–CPBML–and led it firmly on Marxist–Leninist principles. He also played leading roles in National Liberation Council.

Umar’s political analysis never pretended neutrality; it was always an unflinching stance against the interests of the ruling classes. Neither the Awami League nor the BNP escaped his critique, for he consistently showed how both upheld capitalist exploitation and imperialist dominance. His writings and speeches thus became weapons in the hands of workers, peasants, and ordinary people.

Even in his final years, despite illness, he remained active—writing, debating, and inspiring new generations. On September 7, 2025, he breathed his last at Bangladesh Specialized Hospital in Dhaka. His funeral prayer will be held on September 8 at the Dhaka University Central Mosque, followed by burial at Jurain graveyard.

Badruddin Umar’s life reminds us that the struggle for justice is never mere theory—it is continuous practice, a lifelong battle. He was at once a thinker, an organizer, and a revolutionary. His death is an immense loss for the Left movement in Bangladesh, but his writings, teachings, and history of struggle will continue to illuminate the path of future movements.

Badrul Alam 

General Secretary 

Communist Party of Bangladesh(Marxist-Leninist)-CPBML

Loading

The post  Umar was deeply engaged in the Left movement appeared first on Asia Commune.

]]>
युद्ध और हथियारों की होड़ का मानवाधिकारों पर घातक असर https://asiacommune.org/2024/12/12/%e0%a4%af%e0%a5%81%e0%a4%a6%e0%a5%8d%e0%a4%a7-%e0%a4%94%e0%a4%b0-%e0%a4%b9%e0%a4%a5%e0%a4%bf%e0%a4%af%e0%a4%be%e0%a4%b0%e0%a5%8b%e0%a4%82-%e0%a4%95%e0%a5%80-%e0%a4%b9%e0%a5%8b%e0%a4%a1%e0%a4%bc/ Thu, 12 Dec 2024 15:31:54 +0000 https://asiacommune.org/?p=8335 डी.एस.पालीवाल उद‌यपुर। अमेरिकी महाशक्ति की अर्थव्यवस्था युद्ध और हथियारों की होड़ पर निर्भर है तथा संयुक्त राष्ट्रसंघ साम्राज्यवादियों की कठपुतली बन गया है। ये विचार विश्व मानवाधिकार दिवस पर आयोजित पी.यू. सी. एल, जास तथा आम नागरिक व जनसंगठनों के साझा मंच की संयुक्त बैठक में उभरे। आम बैठक में मध्यपूर्व के फिलीस्तीन, लेबनान तथा युद्धरत देशों में मरने वाले आम नागरिक, महिलाओं और बच्चों के मानाधिकार का सवाल उठाया और सभी देशों में उभरते फासीवाद के खतरे की तरफ आगाह किया। सभा में रमेश नंद‌वाना ने कहा कि जन…

The post युद्ध और हथियारों की होड़ का मानवाधिकारों पर घातक असर appeared first on Asia Commune.

]]>

डी.एस.पालीवाल

उद‌यपुर। अमेरिकी महाशक्ति की अर्थव्यवस्था युद्ध और हथियारों की होड़ पर निर्भर है तथा संयुक्त राष्ट्रसंघ साम्राज्यवादियों की कठपुतली बन गया है। ये विचार विश्व मानवाधिकार दिवस पर आयोजित पी.यू. सी. एल, जास तथा आम नागरिक व जनसंगठनों के साझा मंच की संयुक्त बैठक में उभरे।

आम बैठक में मध्यपूर्व के फिलीस्तीन, लेबनान तथा युद्धरत देशों में मरने वाले आम नागरिक, महिलाओं और बच्चों के मानाधिकार का सवाल उठाया और सभी देशों में उभरते फासीवाद के खतरे की तरफ आगाह किया।

सभा में रमेश नंद‌वाना ने कहा कि जन विरोधी राजनीति ने इंसान-इंसान में भेद पैदा कर दिये है और घर परिवार तथा समाज में भी मानवाधिकार का हनन जारी है। उन्होंने जननोत्रिक मुल्यों के साथ ही वैज्ञानिक सोच की आवश्यकता बताई।

पी-यू.सी.एल के एडवोकेट अरुण व्यास ने मानवाधिकार दिवस का इतिहास बताया तथा बढ़ती हुई हिंसक संस्कृति के बारे में चिन्ता व्यक्त की और कहा कि सामन्ती व्यवस्था में संवाद‌विहिनता पैदा हो गई है। व्यास ने कहा कि फिलीस्तीन में नरसंहार हो रहा है और संयुक्त राष्ट्र संघ की सुरक्षा परिषद का व्यवहार नकारात्मक साबित हो रहा है।

जनतांत्रिक अधिकार सुरक्षा संगठन के समीर बनर्जी ने सभी देशों के शासकों की तानाशाही के बारे में बोलते हुए मजदूर, किसान एवं महिलाओं व बच्चों के जनतांत्रिक अधिकारों के बारे में जागरूकता फैलाने की आवश्यकता बताई।

एडवोकेट रूपाली जैन ने कहा कि जन्म से ही मानवाधिकारों का सवाल पैदा हो जाता है। उन्होंने विश्व परिस्थितियों पर चर्चा करते हुए विश्व में तीसरे विश्वयुद्ध के खतरे की तरफ इशारा किया।

वरीष्ठ पत्रकार हिम्मत सेठ ने बांग्लादेश के संकट पर बोलते हुए लोकतंत्र की दुहाई देने वाले अमेरिका में भी अब तक काले-गोरे के भेद के बारे में बताया और कहा कि अमेरिका की युद्ध अर्थव्यवस्था है तथा वो सम्पूर्ण पृथ्वी पर अपनी हुकुमत कायम करने के लिए षड्‌यंत्र करता रहा है।

सभा जनवादी मजदूर यूनियन के जयंती लाल मीणा ने राजतिलक और महाराणा की पद‌वियों को संविधान विरोधी बताया। मीणा ने स्कूलों में अध्यापकों के खाली पदो को बालकों के अधिकार पर हमला बताया तथा राजस्थान में एक लाख कुक कम हेल्परो की अति अल्प तनख्वाह और मजदूरों के बारह-बारह घंटे काम को भी अमानवीय बताया।

भ्रष्टाचार मुक्त भारत के हरीश सुहालका ने डेढ़ लाख वित्तीय सोसायटियों के जमाकर्ताओं के हक का उदाहरण दिया। कामरेड महेश शर्मा ने पूंजीवादी तंत्र को मानव विरोधी बताया और कहा कि सबको समान अवसर की लडाई तेज करनी पड़ेगी ।

साझा मंच के मन्नाराम डांगी ने विश्व की 8 अरब जनता पर मंडराते पर्यावरण खतरे के प्रति आगाह किया और कहा कि सम्पूर्ण तंत्र दोगला व्यवहार कर रहा है। उन्होंने 5 देशों के विटो पावर को समाप्त करने की मांग की तथा पूरी वैश्विक व्यवस्था को गांव से लेकर विश्वस्तर तक पुर्नसंगठित कर जनपक्षीय व जनतांत्रिक बनाने का लक्ष्य लेकर चलना पडेगा।

भाकपा (माले) के शंकरलाल चौधरी ने वैश्विक संकट पर विस्तार से चर्चा करते हुए देश में फैल रही साम्प्रदायिक‌ता और फासीवादी हमलों की चुनौतियों पर बोलते हुए उत्पिडितों के पक्ष में खड़े होकर सडक से संसद तक लडाई लड़‌ने की आवश्यकता बताई।

आम बैठक में एड‌वोकेट श्रेष्ठ वीर सिंह, बाईकर अवानी अरोडा ने भी विचार रखे। सभा का संचालन मन्नाराम डांगी ने किया।

Source bu www.mewarexpress.com

Loading

The post युद्ध और हथियारों की होड़ का मानवाधिकारों पर घातक असर appeared first on Asia Commune.

]]>
রক্ত খাওয়ার ছলা কলা ।- – https://asiacommune.org/2023/11/21/%e0%a6%b0%e0%a6%95%e0%a7%8d%e0%a6%a4-%e0%a6%96%e0%a6%be%e0%a6%93%e0%a6%af%e0%a6%bc%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%9b%e0%a6%b2%e0%a6%be-%e0%a6%95%e0%a6%b2%e0%a6%be-%e0%a5%a4/ Tue, 21 Nov 2023 22:25:10 +0000 https://asiacommune.org/?p=6481 By Arabinda Chakkaraborty সূর্যটাকে লোপাট করে অন্ধকারে গল্প বলা,  বন্ধ ঘরে আটকে রেখে রক্ত খাওয়ার ছলা কলা ।- –  সত্যটাকে পুড়িয়ে মেরে আইন দিয়ে শাসন করা,  শোষক শাসক অত্যাচারী প্রতিদিনই দেয় মহড়া । ভুলিয়ে দিতে ক্ষুধার জ্বালা আচ্ছে দিনের ধাপ্পা দেওয়া,  রাম মন্দির দেখে দেখে  চাওয়া পাওয়া মিটিয়ে নেওয়া। ধর্মের সোনার শেকল বাঁধা  সোনার খাঁচায় বন্দি থাকা,  ধর্মের বাণী শোনায় যারা  হাত গুলো সব রক্ত মাখা । ভাঙন ধরা নদীর কুলে ভালবাসার ঘর বানানো ভাগ্য নিয়ে বসে থাকা সঙ্গে রাখো  ভগবানও। বিশ্বাসের বিষ খেয়ে নাও রামের নামে বেঁচে থাকো,  ফেলতে…

The post রক্ত খাওয়ার ছলা কলা ।- – appeared first on Asia Commune.

]]>

By Arabinda Chakkaraborty

সূর্যটাকে লোপাট করে

অন্ধকারে গল্প বলা, 

বন্ধ ঘরে আটকে রেখে

রক্ত খাওয়ার ছলা কলা ।- – 

সত্যটাকে পুড়িয়ে মেরে

আইন দিয়ে শাসন করা, 

শোষক শাসক অত্যাচারী

প্রতিদিনই দেয় মহড়া ।

ভুলিয়ে দিতে ক্ষুধার জ্বালা

আচ্ছে দিনের ধাপ্পা দেওয়া, 

রাম মন্দির দেখে দেখে

 চাওয়া পাওয়া মিটিয়ে নেওয়া।

ধর্মের সোনার শেকল বাঁধা 

সোনার খাঁচায় বন্দি থাকা, 

ধর্মের বাণী শোনায় যারা 

হাত গুলো সব রক্ত মাখা ।

ভাঙন ধরা নদীর কুলে

ভালবাসার ঘর বানানো

ভাগ্য নিয়ে বসে থাকা

সঙ্গে রাখো  ভগবানও।

বিশ্বাসের বিষ খেয়ে নাও

রামের নামে বেঁচে থাকো, 

ফেলতে হবে গাঁটের কড়ি

ইচ্ছে মতো তেল মাখো।

                                         অরবিন্দ চক্রবর্তী

                                    ১৬ ই নভেম্বর ২০২৩

Loading

The post রক্ত খাওয়ার ছলা কলা ।- – appeared first on Asia Commune.

]]>
ইন্তিফাদাকে বিশ্বায়ন করুন – আন্তর্জাতিক সম্মেলন https://asiacommune.org/2023/11/16/%e0%a6%87%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a4%e0%a6%bf%e0%a6%ab%e0%a6%be%e0%a6%a6%e0%a6%be%e0%a6%95%e0%a7%87-%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%b6%e0%a7%8d%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%af%e0%a6%bc%e0%a6%a8-%e0%a6%95%e0%a6%b0/ Thu, 16 Nov 2023 22:46:34 +0000 https://asiacommune.org/?p=6416 26 শে নভেম্বর, 2023-এ অনলাইন আন্তর্জাতিক সম্মেলন “ইন্তেফাদাকে গ্লোবালাইজ করা” 3য় ফিলিস্তিনি ইন্তিফাদাকে সমর্থন করার এবং ফিলিস্তিনি জনগণের সংগ্রামকে সমর্থন করার উদ্দেশ্য নিয়ে আহ্বান করা হয়েছে যারা নাৎসি রাষ্ট্র ইসরায়েলের বিরুদ্ধে জাতীয় স্বাধীনতা যুদ্ধে নেতৃত্ব দিচ্ছেন এবং তার দখলদার সেনাবাহিনী। বিশ্বব্যাপী এশিয়া কমিউন এবং মার্কস ইন্টারন্যাশনালের কর্মীরা মেক্সিকো, কানাডা এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে কলম্বিয়া, ইকুয়েডর, পানামা হয়ে শ্রীলঙ্কা, হংকং এবং চীন হয়ে ইউরোপ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্য দিয়ে এই যৌথ কাজটি চালিয়ে যাচ্ছেন। ব্যাপক জনসমাবেশের মধ্যে যে সারা বিশ্ব জুড়ে ইন্তিফাদাকে বিশ্বায়ন করছে এবং ইসরায়েলি ও সাম্রাজ্যবাদী সৈন্যদের মোকাবেলা করছে।…

The post ইন্তিফাদাকে বিশ্বায়ন করুন – আন্তর্জাতিক সম্মেলন appeared first on Asia Commune.

]]>

26 শে নভেম্বর, 2023-এ অনলাইন আন্তর্জাতিক সম্মেলন “ইন্তেফাদাকে গ্লোবালাইজ করা” 3য় ফিলিস্তিনি ইন্তিফাদাকে সমর্থন করার এবং ফিলিস্তিনি জনগণের সংগ্রামকে সমর্থন করার উদ্দেশ্য নিয়ে আহ্বান করা হয়েছে যারা নাৎসি রাষ্ট্র ইসরায়েলের বিরুদ্ধে জাতীয় স্বাধীনতা যুদ্ধে নেতৃত্ব দিচ্ছেন এবং তার দখলদার সেনাবাহিনী। বিশ্বব্যাপী এশিয়া কমিউন এবং মার্কস ইন্টারন্যাশনালের কর্মীরা মেক্সিকো, কানাডা এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে কলম্বিয়া, ইকুয়েডর, পানামা হয়ে শ্রীলঙ্কা, হংকং এবং চীন হয়ে ইউরোপ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্য দিয়ে এই যৌথ কাজটি চালিয়ে যাচ্ছেন। ব্যাপক জনসমাবেশের মধ্যে যে সারা বিশ্ব জুড়ে ইন্তিফাদাকে বিশ্বায়ন করছে এবং ইসরায়েলি ও সাম্রাজ্যবাদী সৈন্যদের মোকাবেলা করছে।

হাজার হাজার অ্যাক্টিভিস্ট ফিলিস্তিনের জন্য সারা বিশ্বে লড়াই ও সংগঠিত করেছে, পুঁজিবাদী সরকারগুলোর মোকাবিলা করেছে। প্রগতিশীল আন্তর্জাতিক দ্বারা পরিচালিত বুর্জোয়া এবং সংস্কারবাদীরা জাতিসংঘের নীতি গ্রহণ করে “শান্তি” এবং যুদ্ধবিরতির জন্য মিথ্যা আহ্বান জানায়। সারা বিশ্বে হাজার হাজার অ্যাক্টিভিস্ট সত্যিই যা দাবি করছে তা আমাদের প্রচার করতে হবে: ফিলিস্তিনি মিলিশিয়াদের সামরিক বিজয়, ইসরায়েল রাষ্ট্রের ধ্বংস এবং ফিলিস্তিনি জনগণের নিশ্চিত মুক্তি, যা যুদ্ধে একটি মহান অবদান রাখবে। তাদের জাতীয় মুক্তি। সমগ্র বিশ্বের মানুষ.

আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দিতে এখানে ক্লিক করুন! ফর্মে আমাদের একটি বার্তা দিন

Loading

The post ইন্তিফাদাকে বিশ্বায়ন করুন – আন্তর্জাতিক সম্মেলন appeared first on Asia Commune.

]]>
জেলা সামাজিক আন্দোলনের মত বিনিময় সভা ১৭ নভেম্বর https://asiacommune.org/2023/11/12/%e0%a6%9c%e0%a7%87%e0%a6%b2%e0%a6%be-%e0%a6%b8%e0%a6%be%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%9c%e0%a6%bf%e0%a6%95-%e0%a6%86%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a6%e0%a7%8b%e0%a6%b2%e0%a6%a8%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%ae/ Sun, 12 Nov 2023 23:30:45 +0000 https://asiacommune.org/?p=6396 বাংলানিউজ এনওয়াই ডেস্ক :প্রকাশিত হয়েছে : ০৯ নভেম্বর ২০২৩ সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন সিলেট জেলা আহবায়ক কমিটির এক জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার ( ৮ নভেম্বর ) নগরীর জেলরোডস্থ সংগঠনের অস্থায়ী কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত জরুরী সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা আহবায়ক হিমাংশু মিত্র। সদস্য সচিব এমএসএ মাসুম খানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় দেশের চলমান সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় আগামী ১৭ নভেম্বর সিলেটের প্রগতিশীল সামাজিক,সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠন সমুহের সাথে ‘সংঘাত সহিংসতা নয়, শান্তি,সম্প্রীতি ও সমঝোতার পক্ষে’ শীর্ষক মতবিনিময় সভার সিদ্বান্ত গ্রহণ করা হয়। এদিকে, নগরীর ওয়াকওয়ে গুলোতে ব্যবসায়িক কার্যক্রম বন্ধ করে সামাজিক নিরাপত্তার…

The post জেলা সামাজিক আন্দোলনের মত বিনিময় সভা ১৭ নভেম্বর appeared first on Asia Commune.

]]>

বাংলানিউজ এনওয়াই ডেস্ক :
প্রকাশিত হয়েছে : ০৯ নভেম্বর ২০২৩

সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন সিলেট জেলা আহবায়ক কমিটির এক জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার ( ৮ নভেম্বর ) নগরীর জেলরোডস্থ সংগঠনের অস্থায়ী কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত জরুরী সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা আহবায়ক হিমাংশু মিত্র। সদস্য সচিব এমএসএ মাসুম খানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় দেশের চলমান সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় আগামী ১৭ নভেম্বর সিলেটের প্রগতিশীল সামাজিক,সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠন সমুহের সাথে ‘সংঘাত সহিংসতা নয়, শান্তি,সম্প্রীতি ও সমঝোতার পক্ষে’ শীর্ষক মতবিনিময় সভার সিদ্বান্ত গ্রহণ করা হয়।

এদিকে, নগরীর ওয়াকওয়ে গুলোতে ব্যবসায়িক কার্যক্রম বন্ধ করে সামাজিক নিরাপত্তার সহিত প্রবেশ ফ্রী করে জনসাধারনের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়ার ব্যাপারে সভা থেকে নতুন মেয়র মহোদয়ের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। তাছাড়া, নগরীর সাগরদিঘীর পাড়ে আপন ব্লু -টাওয়ারে ফ্লাট বাসায় গৃহকর্মীর রহস্যজনক মৃত্যুতে উদ্বেগ প্রকাশ করে প্রশাসনের কাছে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে কেউ দোষী হলে বিচারের আওতায় নিয়ে আসার দাবি জানানো হয়। একইসাথে দেশের বর্তমান রাজনৈতিক সংঘাত, অস্থির পরিবেশে স্বাধীনতা ও দেশ বিরোধী শক্তি ও বৈদেশিক আস্ফালন যাতে সক্রিয় না হতে পারে সেদিকে কড়া নজর রেখে সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন জনমানুষের জান মালের নিরাপত্তা রক্ষায় রাজপথে ভুমিকা রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন সংগঠন নেতারা।

সভায় উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম আহবায়ক ফজলুর রহমান,ফাতেমা সুলতানা,সদস্য আলী আক্তারুজ্জামান বাবুল, উদয়ন দাস পুরকায়স্থ,ডা. নাফিসা শবনম, নিপুণ রিচিল,আদনান তায়িব,জয় রায় হিমেল ও আব্দুল্লাহ খোকন প্রমুখ।

Republished From: https://banglanews24ny.com/2023/11/122881/

Loading

The post জেলা সামাজিক আন্দোলনের মত বিনিময় সভা ১৭ নভেম্বর appeared first on Asia Commune.

]]>
ছেঁড়া কাঁথায় স্বপ্ন দেখা https://asiacommune.org/2023/11/09/%e0%a6%9b%e0%a7%87%e0%a6%81%e0%a6%a1%e0%a6%bc%e0%a6%be-%e0%a6%95%e0%a6%be%e0%a6%81%e0%a6%a5%e0%a6%be%e0%a6%af%e0%a6%bc-%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%ac%e0%a6%aa%e0%a7%8d%e0%a6%a8-%e0%a6%a6%e0%a7%87/ Thu, 09 Nov 2023 18:58:34 +0000 https://asiacommune.org/?p=6367 By Arabinda Chakkaraborty ছেঁড়া কাঁথায় স্বপ্ন দেখা মরদ গেছে রস বেচতে রান্না হবে কি? কান্না করে ছেলে মেয়ে খাচ্ছে না পেট ভরে রোগা হয়ে যাচ্ছে ওরা মনটা কেমন করে।  সজনে গাছে পাতা আছে ভাজবো রসুন দিয়ে গুগলি তুলে আনতে হবে স্নান করতে গিয়ে। মাচায় আছে কুমড়ো ফুল ভাজতে হবে বড়া বহুদিন বন্ধ আছে হাট বাজার করা। ক্ষেত খামারে পথে ঘাটে কাজকর্ম নাই বাজার করার টাকা বলো আমরা কোথায় পাই? খালে বিলে কাঁকড়া ধরে মেটাই মনের সাধ ভালো মন্দ খেতে চাওয়া ভীষণ অপরাধ। রস বিক্রির টাকা দিয়ে আনতে হবে চাল যদি…

The post ছেঁড়া কাঁথায় স্বপ্ন দেখা appeared first on Asia Commune.

]]>

By Arabinda Chakkaraborty

ছেঁড়া কাঁথায় স্বপ্ন দেখা

মরদ গেছে রস বেচতে

রান্না হবে কি?

কান্না করে ছেলে মেয়ে

খাচ্ছে না পেট ভরে

রোগা হয়ে যাচ্ছে ওরা

মনটা কেমন করে। 

সজনে গাছে পাতা আছে

ভাজবো রসুন দিয়ে

গুগলি তুলে আনতে হবে

স্নান করতে গিয়ে।

মাচায় আছে কুমড়ো ফুল

ভাজতে হবে বড়া

বহুদিন বন্ধ আছে

হাট বাজার করা।

ক্ষেত খামারে পথে ঘাটে

কাজকর্ম নাই

বাজার করার টাকা বলো

আমরা কোথায় পাই?

খালে বিলে কাঁকড়া ধরে

মেটাই মনের সাধ

ভালো মন্দ খেতে চাওয়া

ভীষণ অপরাধ।

রস বিক্রির টাকা দিয়ে

আনতে হবে চাল

যদি কিছু পয়সা বাঁচে

আনবো মুসুর ডাল।

ধার মেলে না এ পাড়ায়

অভাব ঘরে ঘরে

মাটির দেওয়াল খড়ের চালা

বৃষ্টিতে জল পড়ে।

একশো দিনের কাজ বন্ধ

পাইনি আমার টাকা

লুটেরাদের ভয়ে ভয়ে

চুপটি করে থাকা।

উন্নয়নের কেমন মজা

বুঝছি হাড়ে হাড়ে

ক্ষুধার জ্বালায় পেট জ্বলে গো

কে বাঁচাতে পারে?

                               অরবিন্দ চক্রবর্তী

                          ৫ ই নভেম্বর ২০২৩

Loading

The post ছেঁড়া কাঁথায় স্বপ্ন দেখা appeared first on Asia Commune.

]]>
সূর্য ডোবার পালা এলো https://asiacommune.org/2023/11/07/%e0%a6%b8%e0%a7%82%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%af-%e0%a6%a1%e0%a7%8b%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%aa%e0%a6%be%e0%a6%b2%e0%a6%be-%e0%a6%8f%e0%a6%b2%e0%a7%8b/ Tue, 07 Nov 2023 15:49:47 +0000 https://asiacommune.org/?p=6324 By Arabinda Chakkaraborty সূর্য ডোবার পালা এলো নামবে এবার আঁধার,  ঘরে ফিরে যেতেই হবে মুক্ত করে বাধার।  প্রেম পিড়িতি ভালবাসা সকল বাঁধন খুলে,  ছুটতে হবে কোন সে দেশে শুন্যে দুহাত তুলে।  বন্ধ হবে এ জীবনের ভাঙা গড়ার খেলা,  হাসি মুখে বিদায় দিও চলে যাওয়ার বেলা। এই তো সেদিন এসেছিলাম আমার মায়ের কোলে,  মা বাবা ভাই বোন সবাই গেছে চলে।  একে একে হারিয়ে গেল যতো প্রিয়জন,  বুক ভরা যন্ত্রণাতে ক্লান্ত আমার মন।  দিন ফুরিয়ে এলো এবার   সূর্য ডুবে যাবে,  আমায় যদি মনে পড়ে স্মৃতির খাতায় পাবে। যাকে নিয়ে ঘর বেঁধেছি…

The post সূর্য ডোবার পালা এলো appeared first on Asia Commune.

]]>

By Arabinda Chakkaraborty

সূর্য ডোবার পালা এলো

নামবে এবার আঁধার, 

ঘরে ফিরে যেতেই হবে

মুক্ত করে বাধার। 

প্রেম পিড়িতি ভালবাসা

সকল বাঁধন খুলে, 

ছুটতে হবে কোন সে দেশে

শুন্যে দুহাত তুলে। 

বন্ধ হবে এ জীবনের

ভাঙা গড়ার খেলা, 

হাসি মুখে বিদায় দিও

চলে যাওয়ার বেলা।

এই তো সেদিন এসেছিলাম

আমার মায়ের কোলে, 

মা বাবা ভাই বোন

সবাই গেছে চলে। 

একে একে হারিয়ে গেল

যতো প্রিয়জন, 

বুক ভরা যন্ত্রণাতে

ক্লান্ত আমার মন। 

দিন ফুরিয়ে এলো এবার

  সূর্য ডুবে যাবে, 

আমায় যদি মনে পড়ে

স্মৃতির খাতায় পাবে।

যাকে নিয়ে ঘর বেঁধেছি

দিয়ে ভালবাসা, 

স্বপ্ন ছিল দুচোখে তার

ছিল অনেক আশা। 

সুখ ছিল শান্তি ছিল

ছিল মুখের হাসি, 

ইচ্ছা ছিল সারা জীবন

থাকবো পাশাপাশি। 

এই তো সেদিন সন্ধ্যাবেলা

কালবোশেখী ঝড়ে, 

নিভে গেল প্রদীপ গুলো

জ্বলছিল অন্তরে। 

চলে গেল কোন অজানায়

ছিঁড়ে প্রাণের মায়া, 

সংসার রেখে গেছে

ফেলে গেছে কায়া।

ছেলে মেয়ে যে যার ঘরে

ব্যাস্ত নানান কাজে, 

হাসি কান্নার গান গুলো আজ

শুন্য বুকে বাজে। 

নাতি নাতনি  বড় হলো

করছে পড়াশোনা, 

মাঝে মাঝে আমার কাছে

করে আনাগোনা। 

স্মৃতির খাতায় লুকিয়ে আছে

এ জীবনের ব্যাথা, 

সাঙ্গ হবে কান্না হাসি

ফুরিয়ে যাবে কথা।

বন্ধু তুমি আমার প্রাণের

ভালবাসা নিও, 

বিদায় দিও তোমরা সবাই

আমার যারা প্রিয়।

                                     অরবিন্দ চক্রবর্তী

                               ৫ ই নভেম্বর ২০২৩

Loading

The post সূর্য ডোবার পালা এলো appeared first on Asia Commune.

]]>